
দৈনিক কত পাঠ্যবই বিতরণ হচ্ছে সেটির সঠিক হিসাব রাখলেও কবে নাগাদ বিতরণ শেষ হবে সেই দিনক্ষণ বলতে পারছেন না বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের প্রথম দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কার্য অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “আমার কর্মকর্তারা অনেক তারিখ দিয়েছে, আমি কোনো তারিখ দেইনি। একবার বলেছিলাম আমি পরিষ্কার জানি না, সেটা সবাই বলেছে শিক্ষা উপদেষ্টাই যদি না জানে তাহলে কে জানবে।
“আমি জানি না বলেছি এই কারণে যে আমি নির্দিষ্টভাবে কোনো তারিখ দিতে পারছি না। এখন আমি প্রত্যেক দিন কতগুলো বই ছাপা হচ্ছে এবং কতগুলো বই ডিস্টিবিউট হচ্ছে এগুলোর হিসাব প্রত্যেক দিন রাত্রে আমার কাছে আসে। এবং আমি গ্রাফ দেখে বলতে পারি কতদূর এগোচ্ছি।”
পাঠ্যপুস্তক ছাপানো ও বিতরণ শুরু করতে দেরি হওয়ার কথা তুলে ধরে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “আমরা বলেছিলাম যে বিষয়ে বার্ষিক পরীক্ষা হবে সেসব বিষয়ের বই ফেব্রুয়ারির শেষের মধ্যে চলে যাবে বলে আশা করছি। প্রান্তিক স্কুলগুলোতে যেন আগে বই যায় সে বিষয়ে আমরা নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছিলাম।”
সব পাঠ্যবই কবে নাগাদ শিক্ষার্থীরা পাবেন এবং এবিষয়ে ডিসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, “আমি বলেছি যেগুলো দরকারি বই, আর যেগুলো বছরের শেষে পরীক্ষা হবে সেগুলো এ বছরের ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত দেব।”
অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন বলেন, “শিক্ষা প্রশাসনের অনেক অনেক দুর্নীতি আছে। এগুলোতে একটু নজরদারি করতে বলেছি। শিক্ষকরা ঠিকমতো তাদের ভাতা পান না। স্কুল পরিদর্শকদের হেনস্থার শিকার হন। দুই পক্ষেরই দোষ থাকে এগুলো নজরদারি দরকার।”