সিডর বিডি, অনলাইন ডেস্কঃ
কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দিঘির পাড়ের কাজী সেকান্দর আলীর ছেলে অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা কাজী ফখরুল আলম বাবুল। বয়স ৬৩, ঢাকায় থাকেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের পক্ষে ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছিলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জুলাই বিপ্লবের পক্ষে অনেক লেখালেখি করেছেন। কলেজপড়ুয়া মেয়েকে আন্দোলনে যেতে উৎসাহ দিয়েছেন।
এসব কিছুতে সংশ্লিষ্টতার কয়েকটি ভিডিও দৈনিক আমার দেশ কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধির কাছে হস্তান্তর করেন তিনি। কিন্তু গত ১২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার পুলিশ লাইনে ৩ আগস্ট ছাত্র জনতার উপর হামলাকারী আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এ মামলা করেন আদর্শ সদর চাঁন্দপুর ডুমুরিয়া এলাকার ইনজামুল হক রানা। মামলায় ১ নম্বর আসামি কুমিল্লার সাবেক এমপি বাহার। তালিকায় রয়েছেন আরও ২৬১ জন আসামি, অজ্ঞাত নামের তালিকায় রয়েছেন আরও ২০০ জন। এই মামলার ২৩৫ নাম্বার আসামি ফখরুল।
মামলায় আসামির তালিকায় ফখরুলের নাম আসার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে চলছে নিন্দার ঝড়। এ বিষয়ে কাজী ফখরুল আলম বাবুল বলেন, ৩ আগস্ট কুমিল্লায় ছিলাম না, ছাত্র জনতার আন্দোলনে ঢাকায় ছিলাম। ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলনে অংশগ্রহণ করি। ৬৩ বছর বয়সেও মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে কোথাও কোথাও যুক্ত ছিলাম। ১৬ জুলাই বিকেলে রংপুরে আবু সাঈদ এবং চট্টগ্রামে ছাত্রদল নেতা ওয়াসিম এর মৃত্যু সংবাদ শোনামাত্র ১০০ টাকার একটি বান্ডেল নিয়ে মতিঝিল থেকে সাইন্সল্যাব মোড়ে যাই। তখন এ মোড় ছিলো পুলিশ এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দখলে। এরপর ভিন্ন রাস্তা বেছে নেই। চলে যাই মিরপুর রোডে ছাত্রদের সাথে অবস্থানে। তাদের পানি, শুকনো খাবার, লাইটার, মোমবাতি কিনে দেই। সেখানে রাত ৮টা পর্যন্ত ছিলাম। মোহাম্মদপুরে গভীর রাত পর্যন্ত পুলিশের বিরুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। ৫ আগস্ট গণভবন দখলেও ছিলাম। যার প্রত্যেকটি ভিডিও আমার কাছে আছে।
ফখরুলের নামে মামলার বিষয়ে একাধিকবার ফোন করা হলেও রিসিভ করেননি মামলার বাদী ইনজামুল হক রানা। এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা মহানগরীর আহ্বায়ক আবু রায়হান বলেন, ফখরুল আলম বাবুল ছাত্র আন্দোলনে সময় ছাত্র জনতার পক্ষে ছিলেন। উনি অনেক ভালো মানুষ। এই মামলাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য কেউ কৌশলে উনার নাম দিয়েছে। উনার নাম বাদ দেয়া হবে।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরাফাতুল ইসলাম বলেন, আমরা যাচাই বাছাই করব। ছাত্র জনতার আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন এমন কারো নাম থাকলে তদন্ত করে আমরা বাদ দিব।
সূত্রঃ আমার দেশ