
সিডর বিডি, অনলাইন ডেস্কঃ
ফিলিস্তিনের গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলায় পূর্ণ সমর্থন আছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। এ তথ্য জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। খবর দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই সপ্তাহে গাজায় আইডিএফের সামরিক তৎপরতা পুনরায় চালু করার বিষয়টিকে পূর্ণ সমর্থন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গাজায় যুদ্ধবিরতি পুনঃস্থাপনের জন্য ট্রাম্প কাজ করছেন কি না জানতে চাওয়ার প্রেক্ষিতে লিভিটের জবাব ছিল এটি।
হোয়াইট হাউসের বাইরে সাংবাদিকদের লিভিট বলেন, প্রেসিডেন্ট হামাসকে স্পষ্ট করে বলেছেন- যদি তারা সমস্ত জিম্মিকে মুক্তি না দেয়, তাহলে তাদের নারকীয় মূল্য দিতে হবে। দুর্ভাগ্যবশত, হামাস জীবন নিয়ে খেলা খেলতে বেছে নিয়েছে।
তিনি বলেন, এই পরিস্থিতির জন্য সম্পূর্ণরূপে হামাস দায়ী। যখন তারা ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর নৃশংস আক্রমণ শুরু করে তখনই এ পরিস্থিতি নির্ধারিত হয়ে যায়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেছেন, তিনি চান সমস্ত জিম্মি বাড়ি ফিরে আসুক। অতএব, ইসরায়েল এবং আইডিএফ সাম্প্রতিক দিনগুলোতে যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করেন ট্রাম্প।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত সেখানে ৪৯ হাজার ৬১৭ ফিলিস্তিনি নিহত ও ১ লাখ ১২ হাজার ৯৫০ জন আহত হয়েছে। গাজার সরকারি গণমাধ্যম অফিস জানিয়েছে, নতুন পরিসংখ্যান অনুযায়ী নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও হাজারো মানুষ আটকা পড়ে আছে, যাদের বেশিরভাগেরই বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ১ হাজার ১৩৯ ইসরায়েলি নিহত হয়েছিল এবং ২০০-এর বেশি মানুষকে জিম্মি করা হয়েছিল। বর্তমানে বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি এখনও হামাসের বন্দিদশায় রয়েছে। প্রথম দফায় যুদ্ধবিরতিতে গোষ্ঠীটি বেশ কয়েকবার জিম্মি মুক্তি স্থগিত করলে উত্তেজনা দেখা দেয়। তখন নির্ধারিত সময়ে সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার বিশ্ব তাগিদ উপেক্ষা করে হামাস। এ নিয়ে দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতির আলোচনায় ভাটা পড়ে। এরই ফলে ইসরায়েল ফের অভিযানের নামে গাজায় নারকীয় তাণ্ডব শুরু করেছে।
সুত্রঃ কালবেলা